সান্ডা আর গুইসাপ কি এক?
সান্ডা আর গুইসাপ কি এক? অনেকেই বলে দুটোই একই।
না, সান্ডা আর গুইসাপ একই প্রাণি নয় বরং একদমই ভিন্ন দুটি প্রাণি। অনেক সময় সান্ডা ও গুইসাপকে একই প্রাণি মনে করা হয়, যা ভুল ধারণা। সান্ডা নিরীহ ও তৃণভোজী হওয়ায় ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী হালাল, কিন্তু গুইসাপ মাংসাশী ও শিকারি হওয়ায় হারাম। এছাড়া, গুইসাপ বাংলাদেশের সংরক্ষিত প্রাণি হওয়ায় এর শিকার বা ভক্ষণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
নিচে দুটি ভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো-
🦎 সান্ডা (Uromastyx) – মরুভূমির নিরীহ তৃণভোজী
-বৈজ্ঞানিক নাম: Uromastyx
-ইংরেজি নাম: Spiny-tailed lizard
-আরবি নাম: ضبّ (Dabb)
-উর্দু নাম: سانڈا
-প্রাকৃতিক আবাস: মরুভূমি অঞ্চল; বাংলাদেশে পাওয়া যায় না
-খাদ্যাভ্যাস: তৃণভোজী; ঘাস, পাতা ও ফলমূল খায়
– ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী: সান্ডার মাংস খাওয়া হালাল। নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজে না খেলেও সাহাবিরা এর মাংস খেয়েছেন এবং তিনি তা নিষেধ করেননি।
🐊 গুইসাপ (Monitor Lizard) – বাংলাদেশের মাংসাশী শিকারি
– বৈজ্ঞানিক নাম:Varanus
– ইংরেজি নাম: Monitor lizard
-আরবি নাম: ورل (Waral)
– প্রাকৃতিক আবাস: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল
– খাদ্যাভ্যাস: মাংসাশী; ছোট প্রাণী, পাখি, সাপ ইত্যাদি শিকার করে
-ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী: গুইসাপের মাংস খাওয়া হারাম। কারণ এটি শিকারি, তীক্ষ্ণ দাঁত ও বিষাক্ত লালা রয়েছে।
– বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী: বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী গুইসাপ ধরা, মারা, বিক্রি বা খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদের পার্থক্য বুঝতে নিচে সান্ডা ও গুইসাপের ছবি দেয়া হলো: