564
Points
Questions
137
Answers
32
-
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে সাধারণত এটি অস্বাভাবিক।
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করনীয়:
- আয়রন/রক্তস্বল্পতার লক্ষণ দেখুন (দুর্বলতা, মাথা ঘোরা)।
- অতিরিক্ত রক্তপাত হলে তাৎক্ষণিক ডাক্তার/গাইনোকলজিস্টের কাছে যান।
- কারণ জানতে প্রয়োজন হলে আল্ট্রাসাউন্ড ও হরমোন টেস্ট করা হয়।
দীর্ঘ পিরিয়ড হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি।
- 363 views
- 1 answers
- 0 votes
-
না, সাদা স্রাব সাধারণত মাসিক নয়।
সাদা স্রাব নিয়ে বিস্তারিত
- সাদা স্রাব (White discharge/Leucorrhea) সাধারণত যোনি থেকে বের হওয়া হালকা সাদা বা ক্রিমি রঙের স্রাব, যা ডিম্বস্ফোটনের আগে বা পরে হরমোনের কারণে হয়।
- এটি সাধারণত গন্ধহীন, হালকা বা মলিন, এবং ব্যথা বা অস্বস্তি কম থাকে।
- মাসিক বা রজঃস্রাব হয় রক্তপাতের মাধ্যমে, যা সাধারণত ৩–৭ দিন থাকে এবং রঙ লাল বা গাঢ় লাল।
- সাদা স্রাব গর্ভধারণ, হরমোন পরিবর্তন বা সংক্রমণ—উভয় কারণে হতে পারে।
সাদা স্রাব নিয়ে সতর্কতা
যদি সাদা স্রাবের সঙ্গে গন্ধ, চুলকানি বা ব্যথা থাকে, তবে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন, কারণ এটি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
- 852 views
- 1 answers
- 0 votes
-
ঘন ঘন মাসিক হওয়াকে চিকিৎসা ভাষায় Polymenorrhea বলা হয়। এটি সাধারণত তখন ঘটে যখন মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য খুব ছোট হয় (২১ দিনের কম)।
ঘন ঘন মাসিক হওয়ার প্রধান কারণ:
হরমোনের সমস্যা:
- থাইরয়েডের অস্বাভাবিকতা (Hyperthyroidism বা Hypothyroidism)
- প্রোল্যাকটিন হরমোনের বৃদ্ধি
- এন্ড্রোজেন বা এস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা
ডিম্বাশয় বা জরায়ুর সমস্যা:
- Polycystic Ovary Syndrome (PCOS)
- জরায়ুর ফাইব্রয়েড বা পলিপ
ঔষধের প্রভাব:
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোন থেরাপি
চাপ বা জীবনধারার পরিবর্তন:
- অতিরিক্ত স্ট্রেস, ঘুমের অভাব বা হঠাৎ ওজন পরিবর্তন
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা:
- লিভার বা কিডনির সমস্যা
- অ্যানিমিয়া বা রক্তসংক্রান্ত সমস্যা
ঘন ঘন মাসিক হলে করণীয়
দীর্ঘমেয়াদী বা ঘন ঘন মাসিক হলে গাইনোকোলজিস্ট দেখানো জরুরি। ডাক্তার হরমোন টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড বা অন্যান্য পরীক্ষা করতে পারেন।
- 830 views
- 1 answers
- 0 votes
-
মাসিক নিয়মিত করার জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং জীবনধারার পরিবর্তন সাহায্য করতে পারে।
মাসিক নিয়মিত করার উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
- প্রোটিন, লোহিত (Iron), ভিটামিন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- বেশি চিনি ও তৈলাক্ত খাবার কমানো।
নিয়মিত ব্যায়াম:
- হালকা বা মাঝারি ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম।
- অতিরিক্ত কষ্ঠকর ব্যায়াম এড়ানো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
- অতিরিক্ত বা খুব কম ওজন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
স্ট্রেস কমানো:
- মেডিটেশন, প্রানায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম।
হরমোন বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
- যদি অনিয়ম দীর্ঘ হয়, ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) বা থাইরয়েড পরীক্ষা করা।
- প্রয়োজনে ডাক্তার হরমোন থেরাপি বা ঔষধ দিতে পারেন।
প্রাকৃতিক সহায়ক:
- আদা, পেঁপে, কমলার রস কিছু ক্ষেত্রে মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করতে পারে।
মাসিক নিয়মিত করা নিয়ে সতর্কতা
দীর্ঘ সময় মাসিক অনিয়ম থাকলে, ব্যথা বা অতিরিক্ত রক্তপাত থাকলে ডাক্তার দেখানো জরুরি। নিজে ঔষধ বা হরমোন নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- 779 views
- 1 answers
- 0 votes
-
সুস্থ মাসিক বা পিরিয়ড সাধারণত ৩–৭ দিন মাসিক থাকা ভালো। যদি মাসিক ১–২ দিন বা ৮–১০ দিন বেশি থাকে, তবে এটি অনিয়মিত বা স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।
সুস্থ মাসিক বা পিরিয়ড সাধারণত নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের হয়:
- মেয়াদ (Duration): ৩–৭ দিন।
- চক্রের দৈর্ঘ্য (Cycle length): একটি মাসিক চক্র সাধারণত ২১–৩৫ দিনের মধ্যে।
- রক্তপাতের পরিমাণ: প্রতিদিন ৪–৮ চা চামচ রক্তপাত স্বাভাবিক।
- রঙ ও ঘনত্ব: রঙ লাল বা গাঢ় লাল, মাঝে মাঝে ফ্ল্যাকস বা জমাট রক্ত থাকতে পারে।
- অস্বস্তি: হালকা পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি স্বাভাবিক, কিন্তু অতিরিক্ত তীব্র ব্যথা বা ক্লান্তি হলে ডাক্তার দেখানো উচিত।
- 791 views
- 1 answers
- 0 votes
-
ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং সাধারণত মাসিকের প্রত্যাশিত তারিখের প্রায় ৬–১২ দিন আগে ঘটে।
ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নিয়ে সহজভাবে বললে:
- গর্ভধারণ হলে ডিম্বাণু জরায়ুর গহ্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
- এই প্রক্রিয়ায় জরায়ুর আস্তরণে হালকা রক্তপাত হতে পারে, যাকে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলা হয়।
- এটি সাধারণত হালকা রঙের রক্ত বা স্পটিং আকারে থাকে, মাত্র কয়েক ঘণ্টা বা ১–২ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
- মাসিকের মতো ভারী রক্তপাত নয় এবং সাধারণত ব্যথাও কম থাকে।
- তাই মাসিকের ঠিক আগে যদি হালকা রক্তপাত হয়, সেটি ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হতে পারে।
- 825 views
- 1 answers
- 0 votes
-
মাসিকের রক্ত যদি কম হয়, তবে সাধারণত শরীরে রক্তের অভাব (Iron deficiency) বা হরমোনের কারণে হতে পারে। রক্ত বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ।
মাসিকের রক্ত যদি কম হয়, তবে খাওয়ার পরামর্শ
মাসিকের জন্য লোহিত (Iron) সমৃদ্ধ খাবার:
- লাল মাংস, মুরগি, মাছ
- পালং, লাল শাক, লাল লেবু, লাল শিম
- ডাল ও বাদাম
মাসিকের জন্য ভিটামিন C–যুক্ত খাবার:
- লেবু, কমলা, আঙুর, স্ট্রবেরি
- ভিটামিন C লোহিত শোষণ বাড়ায়
মাসিকের জন্য ফোলেট (Folate) সমৃদ্ধ খাবার:
- পালং, ব্রকলি, সবুজ শাক
- ডিম, লেবু, আপেল
মাসিকের জন্য ভিটামিন B12–যুক্ত খাবার:
- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ
এছাড়াও, প্রচুর পানি পান করুন – রক্তপাতের সময় শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি।
মাসিকের রক্ত যদি কম হয়, তবে সতর্কতা
মাসিকের রক্ত কম থাকলে যদি বারবার হয় বা সঙ্গে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা হয়, তবে ডাক্তার দেখানো জরুরি। কখনোও শুধু খাবার ভরসা না করে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা হলে হরমোন বা রক্ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
- 875 views
- 1 answers
- 0 votes
-
যদি মাসিক বন্ধ না হয় বা অনিয়মিত থাকে, তবে কিছু প্রাথমিক করণীয় কাজগুলো হলো:
- ডাক্তার দেখানো: গাইনোকোলজিস্ট বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। তারা প্রয়োজনমতো হরমোন টেস্ট বা আলট্রাসাউন্ড করতে পারেন।
- প্রেগন্যান্সি টেস্ট: মাসিক মিস হলে প্রথমে নিশ্চিত হোন আপনি গর্ভবতী নন।
- স্বাস্থ্যকর জীবনধারা: পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও স্ট্রেস কমানো।
- ওষুধ বা হরমোন চিকিৎসা: ডাক্তার প্রয়োজনে হরমোন থেরাপি বা মাসিক নিয়ন্ত্রণের ওষুধ দিতে পারেন।
- প্রাকৃতিক সহায়ক: কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন, পুষ্টিকর খাবার ও হালকা ব্যায়াম সাহায্য করতে পারে, তবে গুরুতর সমস্যা থাকলে ডাক্তারি চিকিৎসাই প্রয়োজন।
অনিয়মিত বা বন্ধ পিরিয়ড বা মাসিককে কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি হরমোন, গর্ভাশয় বা ডিম্বাশয়ের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
- 785 views
- 1 answers
- 0 votes
-
মাসে ২–৩ বার মাসিক হওয়াকে চিকিৎসা ভাষায় Polymenorrhea বলা হয়। এটি মূলত মাসিকের চক্র খুব ছোট হওয়া বা অন্যান্য শারীরিক ও হরমোনজনিত কারণে ঘটে।
মাসে ২–৩ বার মাসিক হওয়ার সাধারণ কারণগুলো হলো:
- হরমোনের অশান্তি – থাইরয়েড সমস্যা, প্রোল্যাকটিন বৃদ্ধি বা স্টেরয়েড ব্যবহারে।
- PCOS (Polycystic Ovary Syndrome) – ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
- জরায়ুর বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা – জরায়ুতে ফাইব্রয়েড, পলিপ বা ডিম্বাশয়ে cyst থাকলে।
- চাপ ও জীবনধারার পরিবর্তন – অতিরিক্ত স্ট্রেস, অনিয়মিত ঘুম বা কষ্টকর জীবনধারা।
- ঔষধের প্রভাব – জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোনের ওষুধ ব্যবহারে।
মাসে ২–৩ বার মাসিক হলে করণীয়:
- দীর্ঘমেয়াদে এমন অবস্থা থাকলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- প্রয়োজনে হরমোন টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড বা অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়।
- 784 views
- 1 answers
- 0 votes
-
হ্যাঁ, অনিয়মিত মাসিক থাকলেও গর্ভধারণ সম্ভব, তবে কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।
মাসিক অনিয়মিত হলে ovulation (ডিম্বস্ফোটন) নিয়মিত না হওয়ায় কখন গর্ভধারণ হবে তা পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। অনিয়মিত মাসিক থাকা নারীদেরও নির্দিষ্ট সময়ে ডিম্বস্ফোটন হয়, তাই সঠিক সময়ে সন্তান ধারণ সম্ভব। তবে PCOS, হরমোন সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি থাকলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। অনিয়মিত মাসিক থাকলেও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রেস কমানো ও ডাক্তার পরামর্শ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে ডিম্বস্ফোটন নির্ণয় কিট বা ডাক্তার নির্দেশিত চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানো যায়।
- 495 views
- 1 answers
- 0 votes